Tuesday, November 18, 2025

বাকিতে কোরবানির পশু কেনা যাবে?

আরও পড়ুন

কোরবানি ওয়াজিব ইবাদত। কোনো ব্যক্তির কাছে নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে তার জন্য কোরবানি ওয়াজিব। কোরবানির গুরুত্ব সম্পর্কে উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

কোরবানির দিনের আমলসমূহের মধ্য থেকে পশু কোরবানি করার চেয়ে কোনো আমল আল্লাহ তায়ালার নিকট অধিক প্রিয় নয়। কিয়ামতের দিন এই কোরবানিকে তার শিং, পশম ও ক্ষুরসহ উপস্থিত করা হবে। আর কোরবানির রক্ত জমিনে পড়ার আগেই আল্লাহ তায়ালার নিকট কবুল হয়ে যায়। সুতরাং তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে কোরবানি কর। (জামে তিরমিজি, হাদিস : ১৪৯৩)

আরও পড়ুনঃ  ‘রমজান মাস শুরু আর ১০০ দিন পর’

সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—

‘যার কোরবানির সামর্থ্য আছে তবুও সে কোরবানি করল না সে যেন আমাদের ঈদগাহে না আসে।’ (মুসনাদে আহমদ ২/৩২১; মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদিস : ৭৬৩৯; আত্তারগীব ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫)

কোরবানির পশু সাধারণত তাৎক্ষণিক নগদ টাকায় কেনায় হয়। তবে কোনো কোনো এলাকায় প্রসিদ্ধ আছে যে, বাকিতে পশু ক্রয় করলে কোরবানি সহীহ হয় না। কোরবানির পশু নগদমূল্যে ক্রয় করতে হবে। বাকিতে ক্রয় করলেও কোরবানির আগে তার মূল্য পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় কোরবানি সহিহ হবে না।

আরও পড়ুনঃ  রমজানের ১০ পণ্য আমদানিতে বিশেষ সুবিধা

প্রচলিত এমন ধারণা সম্পর্কে ফেকাহবিদ আলেমদের মতামত হলো— এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল ও ভিত্তিহীন। বাকিতে পশু ক্রয় করলেও তার মাধ্যমে কোরবানি জায়েজ। আর বাকিতে ক্রয় করলে কোরবানির আগেই মূল্য পরিশোধ করতে হবে এ কথাও ঠিক নয়। নগদ বা বাকি যেভাবেই পশু ক্রয় করা হোক তার মাধ্যমে কোরবানি করা সহীহ হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ